Friday, November 4, 2011

অজগর (Python)

অজগর  (Python) by Emad Islam
অজগর (Python), a photo by Emad Islam on Flickr.
Python reticulatus, also known as the (Asiatic) reticulated python is a species of python found in Southeast Asia. Adults can grow to over 8.7 m (28 feet) in length] but normally grow to an average of 3-6 m (10–20 feet). They are the world's longest snakes and longest reptile, but are not the most heavily built. Like all pythons, they are nonvenomous constrictors and normally not considered dangerous to humans. Although large specimens are powerful enough to kill an adult human, attacks are only occasionally reported.
An excellent swimmer, Python reticulatus has been reported far out at sea and has colonized many small islands within its range. The specific name is Latinmeaning net-like, or reticulated, and is a reference to the complex color pattern.

অজগর বা পাইথন পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম সাপ। অজগরকে ময়াল নামেও ডাকা হয়। এরা বিষহীন আদিম সাপ। এদের পিছনের পা-এর চিহ্ন পুরো বিলুপ্ত হয়নি।এরা শিকারকে জোরে পেঁচিয়ে/পরিবেষ্টন (constrict) করে এরা তার দম বন্ধ করে। তার পর মাথার দিক থেকে আস্ত গিলে খায়।এদের অবলোহিত(তাপ) রশ্মি দেখার বিশেষ তাপদৃষ্টি(infrared vision) ইন্দ্রিয় আছে (যে ক্ষমতা কিছু বোড়াদেরও আছে কিন্তু গঠন ও বিবর্তন ভিন্ন পথের)।
অজগরের উপরের ঠোঁট বরাবর এই ইন্দ্রিয় অবস্থিত।
অজগর গোত্রের তিনটি প্রজাতি বাংলাদেশে আছে। নিরীহ স্বভাবের এই সাপটি এক সময় বাংলাদেশের সর্বত্র ছিল। বর্তমানে অজগর আছে শালবন, সিলেট, চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের বনাঞ্চল এবং সুন্দরবনে। অজগরের শরীর খুর ভারী,১০০ কেজি পর্যন্ত ওজন হয়ে থাকে। এটি সাধারণত ১৫ থেকে ২০ ফুট লম্বা হয়। মাথা বল্লমের মত, লেজ খাটো, সমস্ত দেহ নরম মসৃণ আঁইশে মোড়া। গায়ের উপরে ও পাশে হলুদ বা গাঢ় বাদামী রংএর অনেক ছোপ আছে। পেটের দিক হালকা রংএর। অজগরের অবসারণী ছিদ্রের পাশে ক্ষয়িষ্ণু পায়ের স্মৃতিস্বরূপ একটি করে নখরাকৃতি "স্পার" আছে। এগুলি পুরুষ সাপে লম্বা হয়। অজগরের নাসারন্ধ্রের পাশে একটি চিড়ের ন্যায় তির্যক ছিদ্র থাকে। এদেরকে বলা হয় সংবেদী গর্ত (Sensory-pit), যা দেহের বাইরের তাপ সম্পর্কে সম্যক তথ্য সরবরাহ উপযোগী। অজগর খুর আলসে প্রকৃতির। গাছ বেয়ে উপরে উঠতে ও লেজ দিয়ে গাছের ডাল ধরে ঝুলে থাকতে অজগর খুব পছন্দ করে। খাদ্যবস্তু(শিকার)ধরার জন্য সুবিধাজনক স্থানে ঘাপটি মেরে বসে থাকে। সাধারনত যে সব জায়গায় বিভিন্ন বন্যপ্রাণি পানি খেতে আসে সেসব জায়গায় অজগর খুব সাবধানে মরার মত পড়ে থাকে বা লুকিয়ে থাকে। শিকার (খাদ্যবস্তু) সামনে আসা মাত্র প্রথমে কামড়ে ধরে এবং সংগে সংগে অজগরের দেহ দিয়ে খাদ্যবস্তুকে এমনভাবে প্যাঁচিয়ে ধরে যাতে দম বন্ধ হয়ে মারা যায়, অত:পর সানন্দে আহার করে। অজগর ছোট ইদুর থেকে বাঘ, শালিক থেকে ময়ুর পর্যন্ত সব পশুপাখি খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। বড় ধরনের শিকার করতে পারলে একই জায়গায় ৬/৭ দিন মরার মত পড়ে থাকে। অজগর নিশাচর প্রাণি। দিনের বেলা ঘুমায়, শীতের সময় দিনের বেলায় রোদে গা মেলিয়ে আরাম করে। অজগর পোষা যায়। আদর পেলে অজগর যথেষ্ট পোষ মানে। অজগর পোষতে খুব বেশী খাদ্যের প্রয়োজন হয় না। যে কোন বন্যপ্রাণি পোষতে বন বিভাগের লাইসেন্স (পজেশন সার্টিফিকেট) প্রয়োজন হয়। মার্চ থেকে জুনের মধ্যে কোন গর্ত, গুহা বা গাছের বড় ফোকরের মধ্যে ৫০ থেকে ১০০টি ডিম পাড়ে এবং স্ত্রী অজগর সেগুলিকে বেষ্টন করে থাকে সব সময়। এ অবস্থা চলতে থাকে ৬০ থেকে ৭৫ দিন পর্যন্ত। উল্লেখ্য যে, স্ত্রী অজগর এ সময় সম্পূর্ন অভুক্ত থাকে। জন্মের সময় বাচ্চার দৈর্ঘ্য ৫০ থেকে ৬০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। ব্যপকহারে এবং অপরিকল্পিতভাবে গাছ কাটার ফলে অজগর বাংলাদেশে কমে গেছে। বিভিন্ন উপজাতীয়রা অজগর সাপ খুব মজা করে খায়। তাছাড়া চামড়ার লোভেও অজগর নিধন হচ্ছে ব্যপকভাবে।

No comments: